সৈয়দ জাহিদুজ্জামানঃ খুলনার ফুলতলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাতিজার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চাচা মুজিবুর রহমান নিহত হয়েছেন। এ সময় তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসে চাচি পুষ্পা বেগম ও চাচাতো ভাই গুরুতর আহত হন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার রাত ৯ টায় ফুলতলা উপজেলার খানজাহানপুর পূর্ব পাড়ায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মুজিবুর রহমান আসামী কুতুবের চাচা।
ফুলতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহত মুজিবুর রহমানের সাথে আসামী কুতুবউদ্দিনের পৈত্রিক জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার চাচা মুজিবুর রহমান ও ভাতিজা কুতুবের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে কুতুবউদ্দিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে চাচা মুজিবুর রহমানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
এ সময় মুজিবুর রহমানের স্ত্রী পুষ্প বেগম ও ছেলে তাকে রক্ষা করতে গেলে কুতুব উদ্দিন তাদেরও কুপিয়ে আহত করে। ঘটনাস্থলেই মুজিবুরের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা আহতের নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সেখানে পুষ্পা বেগমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। অভিযুক্ত কুতুবউদ্দিন নিহত মুজিবুর রহমানের ছোট ভাইয়ের ছেলে। গত তিনমাস আগে কুতুবুদ্দিনের পিতা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য শরিফুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর থেকেই কুতুব সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে নিহত চাচা মুজিবুর রহমানের ওপর চাপ দিচ্ছিল।
এ ঘটনা নিয়ে পারিবারিক ভাবে কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কুতুব কিছুতেই সালিশ মানছিল না। কুতুবউদ্দিন এলাকার বখাটে ও মাদকাসক্ত যুবক বলে পুলিশ জানায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভাতিজা কুতুবউদ্দিনকে আটক করতে পারেনি। ওসি জানান, আসামী গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
Leave a Reply